মামুন রাফী স্টাফ রিপোর্টার
হাতিয়া উপজেলার বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদে জেলে এবং বিজিডি কার্ডের ৪৫ বস্তা চাউল আত্মসাৎ এর অভিযোগ উঠেছে ইউনিয়ন সচিব ছিদ্দিক আহমেদ জুয়েল ও ইউডিসি রাসেল এর বিরুদ্ধে।
জানা যায় হাতিয়া উপজেলা চৌমুহনী সরকারি গুদাম থেকে গত ০৭ নভেম্বর ১৮০০ জেলে কার্ডের চাউল আসে বুড়িরচর ইউনিয়ন পরিষদে, প্রতিটি জেলের জন্য চাউল দেওয়া হয় ২৫ কেজি, এবং এক দিন অতিক্রম করে ৯ নভেম্বর জেলে কার্ডের চাউল বিতরণ করা হয়। এর পরে ২৪ নভেম্বর পরিষদে ২১৯ জনের ৪৩৮ বস্তা আসার কথা থাকলেও ইউনিয়ন সচিব ছিদ্দিক আহমেদ জুয়েল ও ইউডিসি রাসেল সহ চাউল নিয়ে আসে ৩৯০ বস্তা। বাকি ৪৫ বস্তা চাউল সম্পর্কে কেউ জানতো না। তিন থেকে ৪ দিন পর জানাজানি হলে ইউনিয়ন সচিব ও ইউডিসি রাসেল ৩০ নভেম্বর হাতিয়া চৌমুহনী সরকারি গুদাম ঘর থেকে ৪৫ বস্তা চাউল নিয়ে আসে। এই নিয়ে জনবলে ক্ষোভের সৃষ্টি হয়।
ভুক্তভোগীরা জানান, তারা আমাদেরকে বলে চাউল শেষ হয়ে গেছে, কিন্তু তারা চাউল আত্মসাৎ করেছে, আমরা এটার বিচার চাই।
এই বিষয়ে ইউনিয়ন সচিব ছিদ্দিক আহমেদ জুয়েল বলেন, আমার বিরুদ্ধে মিথ্যা অপপ্রচার করতেছে, আমাকে ব্ল্যাকমেইল করছে, ৪৫ বস্তা চাউল নেওয়া হয়নি ঠিকই কিন্তু সেটা গাড়ি না পাওয়ায় নেওয়া হয়নি।
এই বিষয়ে ইউডিসি রাসেলকে বারবার মুঠোফোনে চেষ্টা করলেও তিনি তা রিসিভ করেননি তাই তার মতামত নেওয়া সম্ভব হয়নি।
এই বিষয়ে বুড়িরচর ইউনিয়নের ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আকবর হোসেন জানান, আমি ছুটিতে ছিলাম এবং সেটা পরে জানতে পারি চাউলের বস্তা আত্মসাৎ এর বিষয়ে। ইউনিয়ন সচিবকে জিজ্ঞেস করলে তিনি আমাকে জানিয়েছেন, তারা গাড়ি পায়নি বলে বস্তা গুলো আনা হয়নি এবং পরবর্তীতে যখন বস্তা গুলো নিয়ে আসে আমি গুনে গুনে দেখেছি সবই ঠিক রয়েছে ।
এই বিষয়ে হাতিয়া উপজেলা নির্বাহী কর্মকর্তা ইবনে আল জাহেদ হোসেন বলেন, আমি বিষয়টি জেনেছি এবং ভারপ্রাপ্ত চেয়ারম্যান আকবর হোসেনকে জানিয়েছি। আমরা সঠিক তদন্ত করে ব্যবস্থা নিবো।
আতিকুর রহমান আতিক কর্তৃক সম্পাদিত ও প্রকাশিত
যোগাযোগ : ০১৭৯৯-১৩৮৪৭১, ০১৯২২-১০৮৩৩৮
© সর্বস্বত্ব স্বত্বাধিকার সংরক্ষিত